• সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ০৮:১১ অপরাহ্ন |
  • English Version
ব্রেকিং নিউজ :
জামালপুরে ভূমিদস্যুদের কবল থেকে ভূমি উদ্ধারের দাবী কৃষকদের জামালপুর পল্লী উন্নয়ন একাডেমিতে তরুণ এবং নারী উদ্যোক্তার জন্য খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ বিষয়ক ১২দিন ব্যাপি প্রশিক্ষণের উদ্ভোধন জামালপুরে দোস্ত এইট বাংলাদেশ সোসাইটির আয়োজনে এতিম শিশুদের মাঝে শিক্ষাবৃত্তির টাকা প্রদান জামালপুরে এলডিবি মনোনীত জামালপুর সদর আসনে এমপির প্রার্থী আলহাজ্ব মুহাম্মদ  মাসুদ হোসাইনের গণ সংযোগ  মাউশির ডিজি কর্মরত থাকা অবস্থায় ডিজি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাহারের দাবীতে জামালপুরে মানববন্ধন জামালপুরে শিশু ধর্ষণের ঘটনায় ধর্ষককে গ্রেফতারের দাবিতে সড়ক অবরোধ ও মানববন্ধন বকশীগঞ্জে নাশকতার অভিযোগে ইউপি সদস্যসহ আ.লীগের ৩ নেতা গ্রেফতার জামালপুরে জেলা ক্রীড়া অফিসের আয়োজনে তারুণ্যের উৎসবে সাঁতর প্রতিযোগীতা অনুষ্টিত সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজে বিএনসিসি প্রাথমিক চিকিৎসা কোর্সের সমাপনী অনুষ্ঠিত বকশীগঞ্জে সাংবাদিক লিমনের কারা মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন

নীরবে জনগণের কাজ করে যাচ্ছেন মানবতাবাদী নেতা শিক্ষক রেজাউল করিম লাভলু      

এম.এ মোস্তাইন বিল্লাহ
দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা প্রতিনিধিঃ
 দেশের বিভিন্ন জেলা,  উপজেলায়ও করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব এর কারণে  বিভিন্ন অরাজনৈতিক ব্যক্তি , রাজনৈতিক ব্যক্তি, বিভিন্ন সংগঠন এবং প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে বিভিন্ন রকম সাহায্য সহযোগিতা এবং ত্রাণ বিতরণ লক্ষ্য করা গেলেও দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার চরআমখাওয়া  ইউনিয়নে সেরকম উল্লেখযোগ্য কোন ব্যাক্তি বা প্রতিষ্ঠান বা রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গের পক্ষ থেকে কোন ত্রাণ সহায়তা প্রদানের দৃশ্য চোখে পড়েনি কারো।
 বিভিন্ন এসোসিয়েশন কিছু ছোট ছোট সংগঠনের পক্ষ থেকে বিক্ষিপ্ত ভাবে কিছু ত্রাণ বিতরণের দৃশ্য চোখে পড়ার মতো ছিল।
এক্ষেত্রে জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ  উপজেলার চরআমখাওয়া  ইউনিয়ন সেচ্ছাসেবক লীগের সাধারন সম্পাদক, সাবেক সভাপতি সানন্দ বাড়ী ডিগ্রি কলেজ ছাত্রলীগ, সাধারন সম্পাদক সানন্দ বাড়ী সাংগঠনিক থানা শাখা এবং সানন্দ বাড়ি হাট ইজারাদার  শিক্ষক রেজাউল করিম লাভলু নিজেকে ব্যতিক্রমী এক সেবক হিসেবে জনগণের পাশে নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন।
 করোনার প্রাদুর্ভাব হওয়ার শুরু থেকেই নিজ এলাকার প্রতি সজাগ তিনি। বিগত প্রায় তিন মাসের বেশি সময় ধরে ইউনিয়নের অসহায়, দুঃস্থ,ও দরিদ্র মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন।
সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে, যে রেজাউল করিম লাভলু ব্যাক্তিগত উদ্যোগে এবং নিজস্ব অর্থায়নে বিভিন্ন সময়ে প্রায় ১৫০০ অধিক মানুষের মাঝে ত্রাণ বিতরন করেছেন।
 ১০ কেজি করে চাল, ১ কেজি ডাল, ১কেজি পিয়াজ,  ১কেজি লবন, ১লিটার তেল, ১টি করে মাক্স সহ  বিভিন্ন প্রকার ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করেন।
সম্প্রতি চর মাদার কবরস্থানের জন্য ১০,০০০/= টাকা, বাউল পাড়া মেহের আলি গ্রামে মসজিদের  জন্য ২০০০/= টাকা, পূর্ব কামারের চর মসজিদে ১০০ বস্তা সিমেন্ট, পশ্চিম কামারেরচর মসজিদের মাইক সেট,   সানন্দবাড়ী পশ্চিমপাড়া শাহী জামে মসজিদে পাঁচ বস্তা সিমেন্ট, সানন্দ বাড়ি মন্ডল পাড়া মসজিদে টিউবওয়েল ও সেইলিং ফ্যান প্রদান করেন।
 এছাড়াও তাফসীরুল কোরআন মাহফিল,  বিভিন্ন মহিলা মাদ্রাসা, এতিমখানা ও কবর স্থান সহ দরিদ্র পরিবারকে  নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান করেছেন।
এলাকার বিভিন্ন তরুণ স্বেচ্ছাসেবীদেরকে সাথে নিয়ে তিনি এক ব্যতিক্রমী স্বেচ্ছাসেবী দল গড়ে তুলেছিলেন । যারা করোনা মহামারীর শুরু থেকে এখন পর্যন্ত তাদের কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছেন।
ইউনিয়নের অনেক এলাকায় ত্রাণ সুবিধাভোগীদের কাছ থেকে জানা যায় তারা অসহায় হয়ে কোথাও কোনো সাহায্য সহযোগীতা পাননি। শিক্ষক রেজাউল করিম লাভলুর সহায়তা পেয়ে তারা উপকৃত হয়েছেন। অনেকে চোঁখের পানি ফেলে তার জন্য দোয়া করেছেন।
চরআমখাওয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন সুধীমহলের  সঙ্গে কথা বলে জানা যায় যে, রেজাউল করিম লাভলু  সাহেবের ত্রাণ তৎপরতা এবং এই করো না মহামারী মহা দুর্যোগের সময় তার যে ভূমিকা সেটি সর্বমহলে প্রশংসিত হয়েছে।
 তিনি দলীয় কোনো গুরুত্বপূর্ণ পদে না থেকেও নিজের পকেটের টাকা দিয়ে মানুষের সেবা করে যাচ্ছেন। অথচ অনেক অর্থশালী বিত্তশালী নিজেরা নিজেদের ঘর থেকেই  বের হন নি।
 এই বিষয়ে যোগাযোগ করে প্রশ্ন করা হলে শিক্ষক রেজাউল করিম লাভলু প্রথমে কোন কিছু বলতে রাজি হন নি।
 তিনি বলেন আমি মানুষের সেবার জন্য কাজ করেছি মানুষের দেখানোর জন্য নয়। এ বিষয়ে আমি কিছু বলতে সাচ্ছন্দ বোধ করছি না। অনেক কৌশলে তার কাছ থেকে এ বিষয়ে মুখ খোলার চেষ্টা করা হয়।
 অবশেষে তিনি বলেন মানুষের এই মহা বিপদের সময় যদি তাদের পাশে না দাঁড়াই তাহলে রাজনীতি করে লাভ কি?
নিজের দায়িত্ববোধ এবং বিবেক বোধ থেকেই আমি এই ত্রাণ সহায়তা প্রদান করেছি।
তো খুব বেশি করতে পারিনি আমি আমার অবস্থান থেকে সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
 তিনি সমাজের অন্যান্য বিত্তবানদেরকে এই করোনা মহামারীতে সবার পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান।
এছাড়াও গত দু’বছরে সানন্দ বাড়ি হাটের বিভিন্ন উন্নয়ন ঘটেছে।
যা বিগত সময়ে হয় নি। দোকানীদের কাছ থেকে জানা যায় , তারা বলেন এখন আমরা সাচ্ছন্দে কেনা বেচা করছি কোন সমস্যা হচ্ছে না।


আপনার মতামত লিখুন :

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।